Sunday, February 24, 2013

শসা – Cucumber



 

 শসা


শসা অতি প্রাচীনকালের খাবার। আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগেই রোমান সম্রাটদের পছন্দের তালিকায় ছিল এটি। সম্রাট টাইবেরিয়াস শসা খুব পছন্দ করতেন। খাওয়ার সময় শসা তার চাই-ই চাই। সম্রাটের টেবিলে শসার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সে আমলে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করা হতো। তারা একটি ঘোড়ার গাড়িতে শসার চাষ করত। প্রতিদিন ঘোড়ার গাড়িটি বাইরে নিয়ে রোদে রাখা হতো। সন্ধ্যায় সে গাড়িটি একটি গরম ঘরে অয়েলক্লথে আবৃত রাখা হতো। রোমানদের এ শসা চাষের পদ্ধতির সঙ্গে বর্তমানে ইউরোপে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত গ্রিনহাউস প্রযুক্তির বহুলাংশে মিলে যায়। রোমানরা শুধু শসা খেতেনই না, চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করতেন।
সাদামাটা শসায় আছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, থিয়াসিন, ফোলেট, পেনটোথেনিক এসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ।

*
ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়ায়।
*
পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার থাকার কারণে শসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।

*
শসায় রয়েছে স্টেরল নামের এক ধরনের উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, শসার খোসায়ও স্টেরল থাকে।
*
ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে শসা খুব উপকারী।

*
কিডনি ইউরিনারি ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় শসা বেশ সাহায্য করে থাকে।

*
এরেপসিন নামক অ্যানজাইম থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করে থাকে।

*
শসা বা শসার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।

*
শসার রস আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও উপকারী।

*
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য শসা খুব ভালো কাজ করে।

*
ত্বকের ক্লান্তি কাটাতে, ত্বক পরিষ্কার রাখতে শসার রস খুবই উপকারী।

*
মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে, দাঁত ও মাঢ়ির সমস্যায় সাহায্য করে।

*
ডাক্তারের পরামর্শনুযায়ী শসার রস খেলে আর্থ্রাইটিস, অ্যাগজিমা, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার হতে পারে।