লেবুর অনেক গুণ।
লেবুর শরবত একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। মাত্র একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে
চল্লিশ মিলিগ্রাম ভিটামিন
সি বা এসকরবিক
এসিড পাওয়া যা একজন মানুষের দৈনিক চাহিদার পূরণের জন্য যথেষ্ট। ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোনো অংশ
কেটে গেলে বা ক্ষত হলে দ্রুতগতিতে কোলাজেন কোষ উপাদান তৈরি করে ক্ষত
নিরাময়েও সাহায্য করে এই ভিটামিন ‘সি’। লেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইট্রিক এসিড
বিদ্যমান যা ক্যালসিয়াম নির্গমন হ্রাস করে পাথুরী রোগ প্রতিহত করতে পারে।
লেবুর খোসার ভেতরের অংশে () ‘রুটিন’ নামের বিশেষ ফ্ল্যাভানয়েড উপাদান আছে যা
শিরা এবং রক্তজালিকার প্রাচীরকে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সুরক্ষা দেয়। ফলে স্বভাবতই
হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। লেবুর অন্যান্য
ব্যবহারও কম নয়। রান্নায় বা আহারে লেবুর ব্যবহার বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্বাস্থ্যপ্রদ।
ত্বক বা রূপচর্চায় লেবুর ব্যবহার ঐতিহ্যগত ভাবেই সুপ্রচলিত। বয়সজনিত মুখের
স্পট বা দাগ সারাতে লেবুর রস যথেষ্ট
কার্যকরী। লেবুর রস ব্যবহারে মুখের ব্রণও দ্রুত সারে। বাজারের ভেজাল মিশ্রিত পানীয় না খেয়ে টাটকা
লেবুর রসের সাথে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে লেমোনেড তৈরি করা হয় যা একই সাথে
তৃষ্ণা মেটায়।
লেবুতে আছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি, যা
এন্টিসেপটিক ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে। লেবুর এই উপাদানগুলো টনসিল
প্রতিরোধ করে। এছাড়া
লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে। লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও
আলসার সারাতে সাহায্য করে। লেবু
আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো । লেবু
শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে। লেবু এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ত্বকের
সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার
রাখে, অপহব দূর করে। ত্বকের বুড়িয়ে
যাওয়া রোধ করে। কালোদাগ ও ত্বকের
ভাঁজ পড়া কমায়। লেবু
ওজন কমাতে সাহায্য করে।লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে পরিষ্কার
রাখে। পেট ফোলাজনিত
সমস্যা কমায়। রক্ত
পরিশোধন করে। ঠাণ্ডা
লাগলে জ্বর, গলাব্যথায়
ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে। শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে
সাহায্য করে।